Tuesday, April 27, 2021

""""বোবা ছেলের নিয়তি """"""

আজিম আন্কেল:-জানো তুমি কেন চাকরি টা পেয়েছো?
আমি:- না তো আন্কেল,আমার ও প্রশ্ন ছিলো কিন্তু বলি নি কখন? আজিম আন্কেল:- তুমি সেই দিন শুধু আমাকে বাচাও নি তুমি প্রায় কয়েকশত পরিবারকে বাচিয়েছো,তারা ধংস হয়ে যেতো যদি আমার কিছু হয়ে যেতো ধন্যবাদ বাবা আমি:- আরে এটা আমার দ্বায়িত্ব, °°^^কাল বিকাল টায় আসছে °°Unlucky Girl°° পুরা শুধু ১ পর্বের গল্পটা একদম Miss করবেন না^^°° ৫ বছর পর (নিজের এলাকা ছেড়ে ঢাকাতে এসেছি ৬ বছর হলে গেলো)কেমন আছে তারা হয়তো তারারর বিয়ে হয়ে গেছে,রোজা ও তাদের বাবা কেমন আছে জানতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে আজ আমার কাছে টাকা পয়সা কোনো অভাব নাই সব আছে তার একমাত্র কারণ আমি ছোট থেকে অনেক কষ্ট করেছি, (রুমে বসে ভাবছিলাম) নিল স্যার আপনি কখন অফিস থেকে আসলেন(পারিসা) আমি:-কে পারিসা নাকি? পারিসা:- আজ কাল তো আমাকে ভুলেই গেছেন!আমি খবর না নিলে আমাকে একটু দেখতে আসেন নাহ, (পারিসা এইবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে,একটু স্টাইলিজ,স্টাইল করলে কি হবে এখনও বাচ্চাদের মতো ব্যবহার,কখন যে এতো বড় হয়ে গেলো বুজতে পারলাম না দেখছেন তো বড়দের মতো কথা বলতেছে) পারিসা:-নিল বসো আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি,(বিরিয়ানী রান্না করে আনলো,সত্যি মেয়েটার হাতে জাদু আছে,এই ৬টা বছর আমার কেয়ারিং সেয়ারিং সব করেছে মনে হতো আমি একটা বাচ্চা ছেলে,সব চেয়ে অবাক হতো আমার মন খারাপ হলে ও আমার আগে কেদে দিতো আজ পযন্ত এই সাইন্স টাই বুজলাম না) (তারপর পারিসা আমাকে খাইয়ে দিলো,সত্যি বলতে মেয়েটাকে আমিও ভালবাসি খুব কিন্তু আমি তো ওর থেকে ১১ বছরের বড় ওর বাবা মা কি বলবে) হঠাত একদিন, মামা:- কিরে নিল ব্যস্ত মনে হয়? আমি:- না মামা ফ্রি আছি,মামা কেমন আছও? মামা:- ভাল নারে নিল,লুবনাকে বিয়ে দিয়েছি ২ বছর হলো,কিন্তু (চোখ মুখে ভিষন্নতার চাপ) আমি- কিন্তু কি হয়েছে বলো মামা? মামা- বড় মেয়েটার এই অবস্থা হবে কল্পনা করতে পারি নি,অনেক বড় ঘরে বিয়ে দিলাম,কিন্তু ওরা শুধু মেয়েটাকে মারে টাকার জন্য" আমি:- কিইইই,আমি বেপার টা দেখছি মামা,কেনো চিন্তা করবে না সব ঠিক হয়ে যাবে। ৫ দিন পর, নিল ভাইয়া কেমন আছও?(লুবনা) আমি:- লুবনা তুমি?কেমন আছও! লুবনা:-ভাইয়া ধন্যবাদ তোমাকে,আমার এতো বড় হেল্প করার জন্য আর আমাকে মাপ করে দাও(সাথে সাথে পা দরার জন্য আসতেছে) [কি হলো বুজতাছেন না?মামা লুবনার শশুর বাড়ি কথা বলার পর আমি লুবনার বর সাথে দেখা করে কথা বলে ওর বর কে বুজিয়ে শুনিয়ে ওর ফেমেলীকে আমার পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি,আর লুবনার শশুড় আর শাশুড়ী কে বললাম লুবনা যাতে কেনো কষ্ট না হয়] আমি:-আরে আরে কিসেরর মাপ কিছুই তো বুজতাছি না পাগল বোন? লুবনা:- আজ আমার এই অবস্থা শুধু আমার অহংকারের জন্য তোমাকে কতো খারাপ কথা বলছি,তোমার সাথে কতো খারাপ আচরন করছি, আমাকে মাপ করে দাও নিল! আমি:- আরে দুর,এ ধরনের কিছুই তো আমার মনে নাই,দেখি কষ্ট করে একটু হাসি দাও তো হাসো হাসো হাসো!! লুবনা:-(একটু হাসলো,কিন্তু একটু চোখে জল বের হয়ে গেলো আর ভাবলো নিল এর মতো হিরার টুকরা ছেলেটাকে আমি হারিয়ে ফেলছি কিযে ভুল করছি আমি) [পারিসা কে নিয়ে শপিং এ আসলাম] পারিসা:-আমাকে কি কিনে দিবা নিল? আমি:- তোমার যা পছন্দ হয় তাই নাও!আমরা এক জায়গায় যাবো বুজছো,তাই শপিং করছি, পারিসা:- কোথাই যাবে নিল? আমি:- আমার জন্মস্থান আমাদের পুরাতন শহরে!(মনে পড়তে লাগলো তারার কথা সে কেমন আছে এখন) পারিসা:-এই নিল এই দিকে আসো দেখো এই শার্ট টা কেমন পড়ে দেখো, আমি:- আরে আমার অনেক শার্ট বাসায় আছে, পারিসা:- চুপ একদম চুপ এটা আমার পক্ষ থেকে আমার বর কে উপহার,আর এটার বিল আমি দিবো ওকে আমি:-একটা থাপ্পড় দিয়া ৩২টা দাত ফালাই দিমু শয়তান একটা আমি তোর কোন জন্মের বর লাগি! পারিসা:-(হঠাত গলা চেপে ধরলো)বেশি কথা বললে গলা চেপে একদম খুন করে পেলবো,তুমি আমার বর,বেশি পেছ পেছ করবা না? আমি:- বাপরে বাপ আমার মামা একটা জিনিস জন্মদিসে গুন্ডি একটা(আস্তে আস্তে বললাম) পারিসা:- কি বললে তুমি? আমি:- না না কিছু না শার্ট টা অনেক সুন্দর কিন্তু" [আজ আমি আর পারিসা আমাদের গাড়ি নিয়ে যাচ্ছি আমার জন্ম স্থানে] আমার মন খারাপ দেখেই, পারিসা:- এই নিল কি হলো তোমার? আমি:- (আনমনে অন্যদিকে তাকিয়ে আছি আমার অতীত এর সম্পকে পারিসা কিছু জানে না) পারিসা:- নিল তুমি কি অসুস্থ? আমি:- কই নাতো,হ্যা বলো? পারিসা:- ড্রাইভার কাকু একটা গান লাগিয়ে দাও তো? ড্রাইভার কাকু:- জি মামনি? (ঘুমাও তুমি ঘুমাও গো চাদ ঘুমাও আমার কোলে ভালবাসা নাও বাসাবো ভালবাসি বলে গান টা চলতে লাগলো) (হঠাত আমার কানে কাছে এসে পারিসা গানের সাথে তাল মিলিয়ে গাইতে লাগলো,বললো:- আজকে তোমার মন কে জরাই ধরবে আমার মন) আমি:- (দিলাম পারিসার কান মোলে)কান টেনে লম্বা করে ফেলবো শয়তান পারিসা:- আহ ছাড়ো ব্যথ্যা পাচ্ছি নিল! আমি:-কি আমার নাম ধরে ডাকা হচ্ছে,দাড়া, পারিসা:- তোমার তো ভাগ্য ভাল তুই করে বলিনাই!আমাকে তো চিনো আমি কেমন একদম খেয়ে পেলবো! আমি:-(দিলাম চিমটি)আবার বল কি করবি? পারিসা:-আমি ফুফিকে নালিশ দিবো দেখিও,বলবো তুমি আমাকে Kiss করছো! (এইরে কখন আবার Kiss করলাম,কি বজ্জাত মেয়ে,এই মেয়ে আবার সত্যি সত্যি যদি বলে দেই তাহলে মান সম্মান সব যাবে) আমি:- এই দিকে আসো পারিসা দেখি কোথায় বথ্যা পেয়েছো?(কাবু করার চেষ্টায়) পারিসা:- সরি বলো,কান ধরে! আমি:- সরি লক্ষীটি, পারিসা:- না কান ধরে বলতে হবে? আমি:-আচ্ছা দরছি (কান ধরছে যাচ্ছি) পারিস:- আচ্ছা থাক লাগবে না,এখন তো কেউ দেখবে না আমাকে জরিয়ে ধরো এখন? আমি:- আচ্ছা আসো পিচ্ছি! [পারিসাকে পেয়ে আল্লাহ রহমতে খুশি আছি] (সারা পথ আমার সাথে দুস্টুমি আর দুস্টুমি করে গেলো) গাড়ি থেকে নামলাম দুইজনে একটা বাড়ির সামনে এই পথ ঘাট আমার সব চিনা, শুনেন এটা চৌধুরী সাহেবের বাসা নাহ দাড়োয়ান:-হু ,আপনে কেডা? আমি:-তারা বা রোজা থাকলে বলেন আমি নিল এসেছি দেখা করতে? দাড়োয়ান:- নিল বাবা তুমি আসো বাসার ভেতর, আমার খুব ভয় হচ্ছে তারা কি এখনও আমাকে ভুল বুজে আছে? "আমি বাড়ির ভিতরে ডুকলাম চারদিকে তাকিয়ে তারাকে খুজতেছি" কেউ একজন হঠাত আমাকে জরিয়ে ধরলো আমি:- কে কে?(দেখি তারা আমাকে জরিয়ে ধরে আছে) তারা:- নিল I Am Sorry,আমি খুব বড় ভুল করে ফেলেছি আমাকে ক্ষমা করে দাও প্লীজ!আমি আর কখনও তোমাকে হারাতে দিবো না, পারিসা:-এই মেয়ে আমার Husband কে জরিয়ে ধরে আছেন কেন?ছাড়ুন বলছি ছাড়ুন?(রেগে আগুন পারিসা) [হঠাত পারিসা Husband বলে পরিচয় দিচ্ছে কেন আমাদের তো বিয়ে হয়নাই এখনও] আমি:-(অনেক জোর করে ছাড়িয়ে দিলাম) তারা:-নিল আমাকে মাপ করে দাও(আমার পা ধরে আছে) [আমার পা ধরে মাপ চাইতেছে,কি করবো বুজতাছি না] পারিসা:- নিল এই মেয়েটা কে?আর আমরা এইখানে আসছি কেন? আমি:- তারা প্লীজ ছাড়ও,নাহলে আমি চলে যাবো এখনই, তারা:- (খুব অবাক হয়ে)নিল তুমি কথা বলতে পারও?সবাই দেখছো আমার নিল কথা বলতে পারে,(সবাই কে দেখিয়ে বলতেছে) আমি:-আচ্ছা এক জায়গায় আমি বসি চলো,পারিসা আসো? তারা:- এই সবাই আমার নিল এর জন্য ভাল ভাল অনেক রান্নাবান্না করো,দেখি অনেক ঘেমে গেছো, (আমার কাছে এসে তার আঁচল দিয়ে কপাল মুছে দিতে লাগলো) পারিসা:- এই হ্যলো আপনি কাকে আপনার নিল নিল বলতেছেন? (তারা কে একটা ধাক্কা দিলো পারিসা খুব রেগে গেছে পারিসা) আমি:- আহ পারিসা কি হচ্ছে একটু চুপ করো না এখন, (পারিসা চুপ করে আছে) তারা:- তোমাকে কোথায় না কোথায় খুজচ্ছি জানো নিল,সেই ৫ বছর আগে থেকে খুজছি প্রতি নিহত তোমাকে দেওয়া কষ্ট গুলার প্রতিদান আল্লাহ আমাকে ৭ গুন হিসাবে দিয়েছে,(তারা খুব অস্থির হয়ে গেছে) (এতোখন ঠিকমতো খেয়াল করি নাই,তারার অবস্থা এমন কেন হয়ছে,ও কি ঠিক মতো কি খাওয়া দাওয়া করে না,আর ঘুম ও যায় না চোখের নিছে কালো দাগ পড়ে রয়েছে) তারা:- নিল আমি এখনও তোমাকে ভালবাসি প্লীজ আমাকে মাপ করে দাও? আমি:- আমি তোমাকে মাপ করে দিয়েছি তারা!আচ্ছা রোজা কোথায়,রোজাকে তো দেখছি না? তারা:- তুমি জানো ওর কারণে আজ আমার এই অবস্থা,রোজার সব সাজানো নাটক ছিলো,আজ ওর সব পাপের শাস্তি পাচ্ছে! সাথে আমি ও আমার পাপের শাস্তি পাচ্ছি, আমি:- কি হয়ছে রোজার? তারা:-সে মাসুদ নামের খুব বড়লোক একজনকে বিয়ে করে প্রেম করে তার স্বামী ছিলো একজন ড্রাগ ডিলার মাদক ব্যবসায়ী ফলে ১৫ বছরের জন্য জেল হয়েছে! (নিয়তির কি পরিহাস দেখুন অহংকারের ফল আল্লাহ দিয়েছে,কথায় আছে না যে দুনিয়াতে পাপ করে পাপের সাজা অখিরাতের জন্য অপেক্ষা করা লাগে না,সে দুনিয়াতেই ফল ভোগ করতে হয়) আমি:- শুনো তারা মানুষ তো ভুল করেই তুমিও ভুল করছো তাই ফল ভোগ করছো,কিন্তু তোমাকে তো নতুন জীবন গড়ার জন্য বাচতে হবে,নতুন ভাবে নতুন জীবন শুরু করো দোয়া করি! তারা:-তুমি প্লীজ আমাকে বিয়ে করে,আমাকে তোমার পায়ে কাছে একটু ঠায় দাও আমাকে, [হঠাত করে পারিসা] পারিসা:- নিল তুমি এখনও বসে থাকবে,চলো তারাতারি(তারাকে ধাক্কা দিয়ে আমাকে ধরে টানাটানি করতেছে) আমি:- পারিসা কি হচ্ছে কি?তোমাকে আনাটায় আমার ভুল হয়ছে!আমি থাকবো না থাকবো না সেটা আমার বেপার,ভাল না লাগলে যাও গাড়ির মধ্যে বসে থাকো,(এইরে একটু বেশি বলে পেললাম) (হঠাত কান্না করতে করতে বেরিয়ে গেলো মেয়েটা,ইশ কি করলাম আমি,ওতো আমার ফিউচার বউ) আমি:- পারিসা এই পারিসা দাড়াও,শুনো না,(চলে গেলো,কি বিপদে পড়লাম রে বাবা) আমি-শুনো তারা পারিসা আমার বউ,আজ ১ মাস হলো আমাদের বিয়ে হয়েছে আমাদের ছোট একটা সংসার হচ্ছে,ও আজ ৬টা বছর ধরে কেয়ারিং সেয়ারিং সব করছে আমি ওকে খুব ভালবাসি সত্যি,তারা আমি আজ আসি পরে সময় পেলে আসবো,এখন ওর রাগ বাঙ্গাতে হবে,(আমি) তারা:-(কেদে যাচ্ছে)শুনো নিল পারিসাকে কখনও কষ্ট দিও না প্লীজ,ওকে আগলে রাখিও আর লাস্ট কথা তোমার মতো একজনকে না পেয়ে আমার জীবন টা বৃথা হয়ে গেলো? আমি:- তারা সত্যি কি আমাকে ভালবাসো তুমি? তারা:- জীবনের চাইতে বেশি! আমি:-তাহলে আমার কথা রাখবে বলো প্রমিস? তারা:- তুমি যা বলবে তাই করবো,মরতে বললে মরতে ও পারবো, আমি:- তারা তুমি ১ মাসের মধ্যে বিয়ে করো,আমি তোমাকে বিয়ে দিতে চাই ভাল একটা ছেলেকে দেখে! তারা:-(চুপ করে কেদে যাচ্ছে) আমি-প্লীজ নতুন করে জীবন শুরু করো, তারা-(মাথা নাড়াচ্ছে)ফারিসা কে কখনও কষ্ট দিও না নিল,i love you, [হঠাত জরিয়ে ধরলো,আমি ছাড়িয়ে নিলাম] আমি- তুমি ১ মাসের মধ্যে বিয়ে করবে কেমন,এই নাও আমার ভিজিটিং কার্ড,কল দিও আমি আর পারিসা এসে বিয়ে খেয়ে যাবো (অনেক কষ্টে এলাম গাড়ির কাছে) গাড়ির সামনে যেতেই ড্রাইভার কাকু:- নিল বাবা হঠাত দেখি পারিসা কাঁদতেছে গাড়িতে বসে! আমি:- এই নাও যাও কাকু কিছু নাস্তা পানি করে আসো! (গাড়ির ভিতরে ডুকলাম,কিভাবে রাগ বাঙ্গাবো বুজতাছি না,মেয়েটা অন্য দিকে মুখ ফিরে আছে আর কাঁদতেছে) আমি:- পারিসা এই পারিসা? পারিসা:- (চুপ)(চোখ মুখ লাল) আমি:-আমার লক্ষীটি এই দিকে তাকাও (অন্য দিকে মুখ করে আছে) পারিসা:-( চুপ) আমি:-দেখি দেখি এমা কাঁদতে কাঁদতে মুখ লাল করে পেলছে!(রাগ বাঙ্গানোর বিথা চেষ্টা) পারিসা:- (চুপ) [দাড়ান এবার একটু আগুন লাগিয়ে দি] আমি:- পারিসা শুনো না তারা নাকি আমাকে বিয়ে করতে চাই,এখন তোমার মতামত কি??(রাগ বাঙ্গানোর নিজ্জা টেকনিক) পারিসা:-কুত্তা,বিলাই শয়তান তোকে আমি খুন করে পেলবো,(সমানে কিল গুতো খাচ্ছি)তোকে আমি ভালবাসি বুজোস না কেন কুত্তা,তোর সাথে কেনো মেয়েকে আমি সহ্য করতে পারি না এটা বুজার পর ও আমাকে একটা মেয়ের সামনে বকা দিলি!(কাদতে কাদতে বলতাছে) আমি:-আচ্ছা আমি কেমনে তোর হাসবেন্ড হই,তুইতো এখনও অনেক ছোট (খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে,মনে হচ্ছে আমাকে কেউ ছিনিয়ে নিয়ে যাবে) পারিসা:-আজ আমি ছোট বলে আমাকে শুধু খোটা দাও,আমি তো তোমার থেকে বেশি না মাত্র ১১ বছরের ছোট, আমি:-আজ যদি ঠিক সময়ে বিয়ে করতাম আজ ২ ৩ টা বাচ্চা থাকতো আমার বুজছো? পারিসা:-আমি কি আর সেই ছোট আছি বলো নিল,তোমার যদি এতোই শক তাহলে আজ আমরা বিয়ে করবো তারপর বাচ্চা নিবো!তারপরও আমাকে পিচ্ছি পিচ্ছি বলবা না আমার সম্মানে লাগে! আমি:- আরও একটু বড় হয়ে নাও,এখনও ছোট তুমি পারিসা:- এই হ্যলো আমার বয়স ১৭ বুজছো, আমি:-ওরে আমার বুড়িরে,(আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে) [তারপর পারিসা কে আমার অতীতের কথা সব খুলে বললাম] ৫ মিনিট পর (আজ খুব ভাল লাগছে,আজ সকল পিছু টান গুলা ছুটে গেছে,আজ ভালবাসতে নেই মানা,সব কষ্ট গুলা শেষ হয়ে গেলো,আর আমার কষ্ট গুলার কথা শুনলে যে কান্না করা মেয়েটাও পেয়ে গেলাম) আমি:-বাব্বা কিছু বলা যায় না তোমাকে,বললে বোম পেঠে যায়,(পারিসার রাগ উঠানো জন্য বললাম) পারিসা:- তুমি আমাকে একলা যা ইচ্ছা তাই বলিও আমি কিছু মনে করবো না,কিন্তু একটা মেয়ের সামনে আমাকে বকাদিসো আমার অন্তসম্মানে খুব লাগছে (কাদতেছে আমার বুকে মাথা দিয়ে) আমি:- I am Sorry লক্ষীটি,আমার আর কখনও এই ভুল হবে না প্রমিস। (কখন যে পারিসা টা এতো বড় হয়ে গেলো বুজতেই পারলাম নাহ) সমাপ্ত............... --অনেকে বলছেন তারার সাথে মিল দিতে,কিন্তু পারিসা তো ৫ বছর ধরে নিল কে সার্পোট দিচ্ছে তারা তো দুরে ছিলো,,আর প্রিয় মানুষটিকে পেতে ভাগ্যের প্রয়োজন হয় তাই হয়তো পারিসার ভাগ্য টা ছিলো আর তারার ভাগ্য খারাপ তাই নিল কে পেলো না 😔😔😔 সমাপ্তি.............. আপনারা সকলে বললে সিজন টু দিবো,,আর জানাবেন কেমন হয়েছে গল্প টা,

Thursday, April 8, 2021

ধৈর্যের ফল সবসময় মিষ্টি হয়

 ধৈর্যের ফল সবসময় মিষ্টি হয়


আমার সাড়ে ৩ বছরের রিলেশনটা ভেঙ্গে গেলো

।যখন আমি মেডিকেল ১ম বর্ষে এক্সাম দেই।শুনলাম সে বিয়েও করে নিয়েছে।

দেখতে পেলাম বউয়ের সাথে তার কিছু অন্তরংগ ছবি।

দেখে মনে হল,রিলেশনের বিয়ে মানে আমার সাথে কমিটেড থাকা অবস্থায় অন্য রিলেশনে জড়িয়ে গেছে।

পরীক্ষায় কি লিখেছি জানিনা।কোনরকম পরীক্ষায় পাশ করলাম।যখন আমার বান্ধবীরা সবাই মেডিকেল,ভার্সিটির এডমিশন টেস্ট,জীবন সাজাতে,গোছাতে ব্যস্ত তখন জীবন আমার কাছে অসহ্য।যেসব ছেলেদের সাথে কথা বলতাম সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলাম।

বান্ধবীরা আমার এ হাল দেখে বলল, আরেকবার রিলেশনে জড়িয়ে যেতে।সবাই ত্ এক না।তখন যার সাথে বেশি কথা বলতাম তাকে একটা চান্স দিয়ে দেখলাম কিন্তু নাহ্।সে আমাকে বুঝতে পারলো না।

একটা সময় মনে হলো-নাহ!এভাবে তিলে তিলে প্রতিদিন মরার চাইতে এক্কেবারে নিজেকে শেষ করে দেই।সুইসাইড করার ট্রাই করলাম কিন্তু আম্মুর কাছে ধরা পড়ে গেলাম।

ভেবেছিলাম আম্মু খুব মারবে,বকাঝকা করবে।কিন্তু নাহ!
আম্মু বললেন-সুইসাইড যার জন্য করবা তুমি মরলে তার কিছুই আসবে যাবে না।মরার পরে যে তুমি খুব সুখে থাকবা,বেহেশতে যাবা সেটাও না।দোযখের আগুনে জ্বলবা।আর সে ঠিকই বউ বাচ্চা নিয়া জীবন আনন্দে কাটাই দিবে।তুমি এভাবে জীবন টা নষ্ট না করে ধৈর্য্য ধরো।আল্লাহ তোমাকে ধৈর্যের পুরষ্কার দিবে।


আম্মুর কথা শোনার পর থেকেই নামাজ পড়া শুরু করলাম।নামাজে দাড়ালেই চোখে পানি চলে আসতো।আমি মোনাজাতে আল্লাহর কাছে কিছুই চাইতে পারতাম না শুধু কান্না করতাম।নিজের বাজে অভ্যাসগুলো ত্যাগ করার চেষ্টা করলাম।ব্যস্ত থাকতে শুরু করলাম।

মেডিকেলের পাশাপাশি বিভিন্ন বই, বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া শুরু করলাম।একটা ইংরেজি কোচিং -এ ভর্তি হলাম।ভাবলাম সময় কাটানোর জন্য কিছু করা দরকার।কিন্ডার গার্টেন এ জব নিলাম।দিনের বেশিরভাগ সময় বাচ্চাদের সাথে কাটাতাম।আস্তে আস্তে টিউশন শুরু করলাম।লেখাপড়া,ছোট্ট জব আর টিউশন,আর ফাঁকেফুঁকে ফেইজবুকিং...,এভাবেই দিন কাটতে লাগলো....!

এক রাতে আমার আত্ত্বীয়ের জন্য রক্ত লাগবে।আমার বন্ধু একটা নাম্বার দিয়ে বললো-উনার নাম সজীব।সারা বাংলাদেশে ব্লাড ডোনেশন নিয়ে কাজ করে।একদম ফ্রী তে সবাই কে হেল্প করে।খুবই ভালো মানুষ।তোকে অবশ্যই সাহায্য করবে।যোগাযোগ কর।

তখন রাত ২ টা।কল দেয়ার সাথে সাথেই রিসিভ করলেন।
উনি বললেন সকালের মধ্যে ডোনার পাঠাবেন।রোগীর ব্লাডের প্রয়োজন হয় নি।তাই আর সকালে উনার সাথে যোগাযোগ করিনি।

ফেইজবুকে একদিন হঠাৎ উনার আইডি টা সামনে আসলো।অনুমান করলাম উনিই হয়তো সেই সজীব ভাই।যদি নেক্সট কারো ব্লাড লাগে উনার সাথে যেনো যোগাযোগ করতে পারি তাই উনাকে রিকুয়েস্ট পাঠালাম।
উনার ফ্রেন্ডলিস্টে নিজের জায়গা করে নিতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনে হচ্ছিলো।

উনার পোস্টগুলা দেখে দেখে মন ভরে যেতো।নারীদের প্রতি সম্মান,পজিটিভ মেন্টালিটি আর মানুষের উপকারে ভরপুর ছিলো উনার ফেইজবুক ওয়াল টা।যত দেখতাম ততই মুগ্ধ হতাম।

২_বছর উনার ফ্রেন্ডলিস্টে ছিলাম কিন্তু উনি একদিনও ইনবক্সে নক দেন নি।মাঝে মাঝে ছবিতে টুকটাক কমেন্ট করতো।

একদিন ঘুম থেকে উঠে ফেইজবুকে ঢুকতেই উনার (সজীব) ছবি সামনে এলো।এটি এন চ্যানেল এ ইয়ং নাইট প্রোগ্রামে গিয়েছেন।সেটার লিংক এ গিয়ে শুনলাম উনার কথা।
এত সুন্দর ছিলো সেদিনের কথাগুলা।

ভাবলাম-নিজেকে সেকেন্ড চান্স দিয়েই দেখি।
দেখি জীবন আমাকে কি দেয়।এমন একটা মানুষকে জীবনসংগী হিসেবে আমার দরকার।

কিন্তু সমস্যা হলো! আমারতো কালো ছেলে পছন্দ না।আমার জামাই ফর্সা হতেই হবে।পরক্ষণেই ভাবলাম একবারতো ফর্সা একটারে পছন্দ করে ধরা খাইছি।এবার কালা মানুষরে পছন্দ করে দেখি।

উনার প্রোফাইলে রিলেশনশিপ দেখলাম সিংগেল।
ইনবক্সে নক দিয়েই সোজা বলে দিলাম-আই লাভ ইউ, ডু ইউ লাভ মি?'

উনি কিছুক্ষনের মধ্যেই কেন জানিনা রাজি হয়ে গেলেন।মনে হয় আমার অপেক্ষায় ছিলেন।কিন্তু উনার কন্ডিশন ছিলো-আগে বিয়ে।বিয়ের পরে প্রেম।আমিও রাজী হয়ে গেলাম।উনি নিজে থেকেই বললেন-আমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবেন।

আমি আমার মা কে সব বললাম।মা বললেন-ছেলেকে বলো ফ্যামিলির সাথে সেও আসতে।একবারে দেখাদেখি হয়ে যাক।উনি উনার ফ্যামিলি মেম্বারসহ মোট ১৫ জন কে নিয়ে আসলেন আমাকে দেখতে তাও রাত ১১ টায়।

কিছুক্ষন পর আমার মা ভাই আর মামা এসে আমাকে বললেন-আমাদের তো ছেলে খুব পছন্দ হইছে।তাদেরও তোমাকে পছন্দ হইছে।তারা চাচ্ছে এখনই বিয়ে করাই ফেলতে।তুমি কি বলো!
আমি বললাম-আপনারা যা ভালো মনে করেন তাই করেন।

রাত ১.৩০ এ কাজী-কে ফোন করে আনানো হলো,বিয়ে হলো।

বিয়ের আগে আমরা কেউ কাউকে বাস্তবে দেখতে চাইনি।শুধু ছবি দেখেছি।যখন সবার সামনে আমাকে দেখাতে নিয়ে গেলো আমি তখন লজ্জায় উনার দিকে তাকাতে পারিনি।উনার অবস্থাও সেইম ছিল।

বিয়ের পর বাসর ঘরে এই মানুষটাকে প্রথম সামনাসামনি দেখলাম।

কি সাদাসিধা!কি সহজসরল।ফেইজবুক ওয়াল দেখে যেমন কল্পনা করেছিলাম ঠিক তেমন।

১৭ই মার্চ সকালে উনাকে প্রপোজ করেছিলাম আর ২৪ মার্চ বিয়ে।প্রপোজ করার ৭ দিনের মাথায় বিয়ে।আমাদের ৭ দিনের সম্পর্ককে বিয়ের মাধ্যমে চিরস্থায়ী করে নিলাম।

তারপর,
আমাদের বিবাহিত জীবনের ৫ বছর চলছে!এর মধ্যে স্বামীর অনুপ্রেরণা আর সহযোগীতায় মেডিকেল কমপ্লিট করেছি।আজ আমি সফল একজন ডাক্তার। আজ আমার কোন রোগীর ব্লাডের প্রয়োজন হলে আমাকে আর ডোনার খুঁজতে হয় না।রোগী দেখা শেষ করে যখন বাসায় ফিরি দেখি আমার জন্য বেলকনিতে দাঁড়িয়ে প্রহর গুনছে একজোড়া ভালবাসায় মোড়ানো আঁখি।তার কাঁধে মাথা রেখে দুরের ঐ আকাশ দেখি।আর তিনি আমাকে তারার সাথে তুলনা করতে করতে বাহুডোর থেকে বুকের মাঝে টেনে এনে স্বপ্ন বুনে দেন।আমি দেখি,মুগ্ধ চোখে দেখি।তারপর তার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি।

এই ৫ বছরে কোন অপ্রাপ্তি নাই।পিছনে ফিরে তাকালে নিজেকে অসম্ভব ভাগ্যবতী মনে হয়।লাইফে এর চেয়ে সুখি হওয়া সম্ভব কিনা এই বিষয়ে আমার আইডিয়া নাই।

আগে লাইফের এতো মায়া ছিলো না।বিয়ের পর আর মরতে ইচ্ছা করে না।চড়াই-উতরাই পার করে নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পেরেছি এ-র চেয়ে ভাল থাকা বোধ হয় আর হয় না।

মাঝে মাঝে ভাবি-সেদিন যদি সুইসাইড করে ফেলতাম তাহলে জীবনের এত সুন্দর অধ্যায়টা দেখাই হতো না।যদি সেই মানুষটা চলে না যেত তাহলে এমন একটা মানুষের দেখা পেতাম না।আল্লাহ নিজেই কিছু কিছু সম্পর্ক নষ্ট করে দেন যাতে আমাদের জীবন নষ্ট না হয়।আসলে জীবনে কখনোই হতাশ হতে নেই।আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে শুকরিয়া আদায় করো।মানুষের জীবন পাল্টাতে খুব বেশী সময় লাগে না।সুখ থেকে অসুখে, আর অসুখে থেকে সুখে।আল্লাহর উপর ভরসা,ইচ্ছাশক্তি থাকলে আর ধৈর্য্য ধরতে পারলে জীবন সুন্দর হতে বাধ্য।
Alhamdulillah

Friday, April 2, 2021

সফল ফ্রিল্যান্সার

কিন্তু
একজন লোগো ডিজিইনার লোগো বুঝবে না এটা কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব।
কারণ যারা ফটোশপ শিখে নিজেকে ডিজাইনার মনে করে তারা ১ লাখ ডলার এর লোগো দেখে বলবে,
আমি এটা ১০ টাকায় করে দিতাম এটাই স্বাভাবিক।
কারণ সে ফটোশপ জানে কিন্তু লোগো কী জিনিস জানে না।
যে কোনো লোগো হয়ে যাওয়ার পর মনে হবে ,
এ আর এমন কী! তবে এসব লোগোর জন্য কেন এত টাকা দেওয়া হয় তা কি ভেবে দেখেছেন?
আপনি যদি একটুখানি পড়াশোনা করতেন তা হলে এমন মূর্খের মতো কথা বলতেন না।
লোগো মানেই সেখানে কোম্পানি চাইবে তাদের সব কিছু ওর মধ্যে থাক।
তা আপনার মতো ডিজাইনার বুঝুক ছাই না বুঝুক।
আমি শুধু অ্যাপল এর টা বলি।
https://priyorent.com/

ডিজাইনার রব ইয়ানভফ, যিনি বিশ্ববিখ্যাত অ্যাপল কোম্পানির লোগো তৈরি করেছেন,
তিনি এই লোগোর পেছনের গল্প ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে,
“আমি এক ব্যাগ ভর্তি আপেল কিনেছি এবং আপেলগুলো একটি বাটিতে রেখেছি এবং এক সপ্তাহ ধরে তাদের এঁকেছি, তারপর তার মাঝে থেকে সহজ কিছু বের করে আনার চেষ্টা করেছি,
কিন্তু তেমন কিছু তৈরি করতে পারিনি। নিরীক্ষার অংশ হিসেবেই, আপেলে একটি কামড় (বাইট) বসাই এবং সম্পূর্ণ কাকতালীয়ভাবে আমি অনুভব করি, কামড় (bite) কম্পিউটারের ‘বাইট’ (byte) এর মতোই শোনাচ্ছে।”
তবে একটু কষ্ট করলে জানাটাও কিন্তু এত কঠিনও না।
কোনো কিছু শুরু করার আগে বেসিক ইনফোগুলো জানুন,
তাহলে অন্তত নিজে ৫ ডলার এর জায়গায় ৫০০ ডলার চাওয়ার সাহসটা করতে পারবেন।
শাওমির লোগো ডিজাইন নিয়ে এতো তুলপাড় চলছে🙄🙄কিছু বাঙ্গালী লোগো ডিজাইন বিজ্ঞানীদের পোষ্ট আর কমেন্ট দেখে অবাক🥴🥴আবার পাড়ার নানাতো ছোট ভাইকেও দেখলাম নিজেকে Kenya Hara-র সাথে তুলনাও করছে এবং নিজের ডিজানকে এই লোগোর থেকে অনেক ভালো বলতেছেন🥸🥸আবার কেউ বলতেছেন ফ্রিতেও করে দিতেন😆😆নিজের ডিমান্ড বাড়ান তাহলে আপনাকে কেউ হাজার ডলার দিয়েও হায়ার করে ডিজাইন করিয়ে নিতে বাধ্য থাকবে✌✌
আর হ্যা এখানে এই সমালচনায়ও তাদের মার্কেটিং হয়ে যাচ্ছে মানে তাদের পরিচিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গুগলেও অনেক সার্চ হচ্ছে এটা নিয়ে। যারা মার্কেটিং বুঝেন তারাই বুঝতে পারবেন।

The entire Privacy Policy of sotiksomay. is an integral part of the “Terms of Use”. All clauses in t

কাদেরের ঢাবিতে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন ইউএনও।

কাদেরের ঢাবিতে ভর্তির দায়িত্ব নিলেন ইউএনও।💜 রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের।...